বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ড. ইউনূস বলেন, “নির্বাচন সামনে রেখে মৌলিক সংস্কার এখনই চূড়ান্ত করতে হবে। আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলোর একটি হলো সংস্কার। তাই নির্বাচন, বিচার ও জুলাই সনদ—সবকিছুকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এটি কোনো সাধারণ নির্বাচন নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের এক ‘ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন’। তাই এই নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য ও যথাযথ প্রস্তুতি অপরিহার্য।”
দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও নির্বাচন-পূর্ব সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়। কমিশনের ছয় সদস্যের উপকমিটি তাদের প্রস্তাবিত সুপারিশ উপস্থাপন করে। শিগগিরই এই সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে অংশ নেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ড. আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিচ্ছে। এর আগে জুলাই মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন ও নির্বাচন-পূর্ব সংস্কার নিয়েই এখন মূল দিকনির্দেশক আলোচনা চলছে।